AB200419

Wednesday, May 14, 2025

জমির জন্য বাবা-মা ও চাচির দ্বারা খু_নের শিকার.....

জমির জন্য নিজ বাবা-মা ও চাচির হাতে খু-ন....

রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছিল মেয়েটা। পাশের রুমে বাবা-মাও ছিল। তারপর মধ্যরাতের দিকে বাবা-মা জান্নাতী, জান্নাতী বলে মেয়েটাকে ডেকে তুলে। 





ঘুম থেকে তুলে বলে একটু বাইরে বের হব চল।


মেয়েটা ঘুমঘুম চোখে অবাক হয়। এতরাতে কোথায় যাবে জিজ্ঞেস করতে থাকে। বাবা-মা কোন প্রকার উত্তর না দিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্যে জোর করতে থাকে। 


যেহেতু বাবা-মা বলছে তাই মেয়েটা আর না করে না। চোখে ঘুম আর কৌতূহল নিয়েই বের হয় তাদের সাথে।


কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা লক্ষ্য করে তার চাচি শাহিনা বেগমও তাদের সাথে যাচ্ছেন। মেয়েটা মনে করেছিল হয়তো সবাই একসাথে কোন দরকারি কাজে যাচ্ছে। 


কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মেয়েটা খেয়াল করে তার বাবা-মা বসতবাড়ির রাস্তা ছেড়ে কৃষি জমির দিকে যাচ্ছে।


মেয়টা অবাক হয়েই জানতে চেয়েছিল তারা এখানে কেন এসেছে। কিন্তু বাবা-মা আর চাচি তাকে চুপ করে থাকতে বলে। মেয়েটার চোখেমুখে তখনও ঘুমঘুম ভাব ছিল।


কিছুক্ষণ পরই তারা একটা ভুট্টা ক্ষেতের কাছাকাছি আসে। এখানে এসেও কৌতূহলী হয়ে বাবা-মা আর চাচিকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিল তারা এত রাতে এখানে কেন এসেছে।


কিন্তু তার আগেই পেছন থেকে জান্নাতীর হাত এবং মুখ জাপটে ধরে, যাতে চিৎকার করতে না পারে। তারপর মাথায় এবং শরীরে রড দিয়ে জোরে অঘাত করে।


মেয়েটা ছুটে দৌড় দিতে চেয়েছিল কিন্তু আকস্মিক আঘাতের কারণে আর পারে না। 


তারপর বাবা-মা এবং চাচি শাহিনা বেগম মিলে ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকে মেয়েটাকে। মেয়েটা তখন অনেকটাই নিস্তেজ, তীব্র যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল শুধু।


তিনজন মিলে অনবরত কোপাতে থাকে মেয়েটাকে, চারদিকে র*ক্ত ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর সেখানেই মারা যায় মেয়েটা। 


পূর্ব পরিকল্পনায় অংশ হিসেবে বাবা-মা এবং চাচি মিলে মেয়েটাকে মেরে ওই ভুট্টা খেতেই রেখে চলে আসে। এ ঘটনা শনিবারের।


পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকেরা যখন জমিতে কাজ করতে যায় তখন সেখানে জান্নাতীর লা*শ দেখতে পায়। 


লা*শ দেখতে পেয়ে খোঁজ দেয় বাবা-মাকে। তারা এসে কতক্ষণ কান্নাকাটির নাটক করে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।


তারপর মেয়ের চাচা এবং বাবা-মা মিলে প্রতিবেশী ২৭ জনের নামে মামলা করে। তারপর পুলিশ তাৎক্ষণিক সেই প্রতিবেশীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।


কিন্তু পুলিশ কিছুতেই সুরাহা করতে পারছিল না। সবাই অস্বীকার করছিল। পুলিশ আরও জোর দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কাজ হয় না। 


এর দুইদিন পর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্ত করে কিছু ক্লু পায়। সেই ক্লু ধরে পুলিশ মেয়েটার বাবা-মা এবং চাচা চাচিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে আসে।


তারা থানায় এসেই ওই প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে থাকে এবং তাদেরকে ফাঁসি দিতে বলে। 


বাবা-মা বারবার বলতে থাকে আমার মেয়েটাকে ওই প্রতিবেশীরাই মিলে মেরেছে। কিন্তু পুলিশ সেই কথায় পাত্তা না দিয়ে তাদের স্বাভাবিক ইনভেস্টিগেশন চালিয়ে যেতে শুরু করে। 


একপর্যায়ে যখন জোরলো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ক্লু গুলো সামনে নিয়ে আসে তখন চাচি শাহিনা বেগম পুলিশের কাছে স্বীকার করে ফেলে যে তারাই মেয়েটাকে শনিবার রাতে মেরেছে। 


বাবা-মা তখনও স্বীকার করেনি। কিন্তু চাচি শাহিনা বেগমের স্বীকারোক্তির পর বাবা-মা ও বুঝে যায় বাঁচার আর কোন পথ নেই। 


তারপর মেয়েটার বাবা জাহিদুল ইসলাম এবং মা মোর্শেদা বেগমও স্বীকার করে যে তারা তিনজন মিলেই মেয়েটাকে নির্মমভাবে মেরেছে।


তারপর মারার কারণ জিজ্ঞেস করায় তারা জানায়- প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই তারা নিজ মেয়েকে মেরেছে। 


প্রতিবেশীদের সাথে তাদের একটা ৩২ বিঘা জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল বহুদিন ধরেই। তাই চাচি শাহিনা বেগম তাদেরকে প্ল্যান দিয়েছিল নিজ মেয়েকে মেরে ওই জমিতে রেখে আসতে। 


তারপর তারা মামলা করবে প্রতিবেশীদের নামে।


এতে করে মামলায় প্রতিবেশীদের জেল হলে তারা সহজেই ৩২ বিঘা জমিটা দখল দিয়ে নিজেদের করে নিতে পারবে। 


এজন্যেই তারা ২৭ জন প্রতিবেশীর নামে মামলা করেছিল যাতে ওই পরিবারের সবার জেল হয়।


এ স্বীকারোক্তি গুলো কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হাবিবুল্লাহ সংগ্রহ করেছেন এবং ভেরিফাই করে সত্যায়িত করেছেন। 


তাছাড়া মেয়েটাকে কিভাবে কিভাবে মারা হয়েছিল সে ঘটনার স্বীকারোক্তিও বাবা-মায়ের  কাছ থেকেই পুলিশ নিয়েছে।


জান্নাতী মেয়েটার বয়স খুব বেশি না, ১৫ বছর বয়স মাত্র। পড়াশোনা করত ক্লাস নাইনে। 


গ্রামের সবাই এ ঘটনায় খুবই অবাক হয়েছে এবং মেয়েটার জন্যে শোকাহত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল- মেয়েটার আচার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল। 


মেয়েটার স্কুলের শিক্ষক এবং সহপাঠীরাও জানিয়েছে- মেয়টা পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিল। বেঁচে থাকলে সামনের বছরই এসএসসি পরীক্ষা দিতো। হয়তো ভালো একটা রেজাল্টও করতো।


আমাদের চারপাশে কতশত দম্পতির সন্তান হয়না বিধায় এ হসপিটাল থেকে ও হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে দিন পার করে। একটা সন্তানের জন্যে কত হাহাকার করে। 


অথচ সামান্য কিছু জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই খুন হতে হলো হাসিখুশি মেয়ে জান্নাতির


(কয়েকদিন পরই ঘটনার বাকি আপডেট টুকু জানাব)

তথ্য সংগ্রহ এবং লেখা- Ibrahim Khalil Shawon

নিচের ফেসবুক লিংক

https://www.facebook.com/share/1AeAKFx9hg/

সবার জন্য GP তে ফ্রি ৫০০ এমবি নিতে ডায়াল *121*585....

সকল গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য ফ্রি ৫০০ এমবি, ২৪ ঘন্টা মেয়াদে



১৫ই মে-এর মধ্যে অফারটি নিতে ডায়াল *121*5855#


অফারটি একবার প্রযোজ্য।

Tuesday, May 13, 2025

১৪ মে ২০২৫ ইং তারিখে TCB প্যাকেজ বিতরণের বিস্তারিত......

১৪.০৫.২০২৫ তারিখে রংপুর সিটির ১০,১২,১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ডে পণ‍্য দেয়া হবে। 






তথ্য পাওয়া মাত্রই এই লিংকে আপডেট পাবেন।

Saturday, March 1, 2025

০২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে TCB প্যাকেজ বিতরণের বিস্তারিত......

 আগামী ০২-০৩-২০২৫ ইং তারিখে রংপুর সিটিতে ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ নং ওয়ার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।  কার্ড ছাড়া কেউ পণ‍্য কিনতে পারবেন না। সময় সকাল ১০ টা থেকে পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিক্রি চলবে।




✅ পণ্যের মূল্য : ৫৯০/-


🔴 পণ্যের বিবরণ :

✔️ তেল - ১০০ টাকা (প্রতি কেজি)

✔️ চিনি - ৭০ টাকা (প্রতি কেজি)

✔️ ডাল - ৬০ টাকা (প্রতি কেজি)

✔️ ছোলা - ৬০ টাকা (প্রতি কেজি)

✔️ খেজুর - ১৫৫ টাকা (প্রতি কেজি)

Monday, January 13, 2025

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহয়তার আবেদন করুন.....

 ⭕আর্থিক অনুদান 

💢আর্থিক অনুদানে আবেদন- ২০২৫

✔এটা কোন উপবৃত্তি না। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহয়তার আবেদন।


💢আবেদন করতে পারবে: স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যাল (৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত) সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।


💢আবেদন করতে পারবে: (৬ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাষ্টার্স ) সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।

💢অনার্স/ডিগ্রী/মাস্টার্স: ১০ হাজার টাকা, #১১ম-১২ম শ্রেণি: ৯ হাজার, #৬ষ্ঠ ১০ম, শ্রেণি : ৮ হাজার, 

💢তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ লাখ টাকা করে, শিক্ষক-কর্মচারীরা৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান পেয়েছেন

💢অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখঃ ২৮ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আর্থিক অনুদানের আবেদন করতে ইনবক্স করতে পারেন,  আবেদন চার্জ প্রযোজ্য।

**অবশ্যই প্রতিষ্টান প্রধানের/ বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যায়ন পএ নিতে হবে।




AB200419